ইয়ামাহা ফেজার এফআই ভি২ বাইকে মসৃণ এবং পরিমার্জিত ইঞ্জিন অন্তর্ভুক্ত আছে বিধায় ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এছাড়া, ইয়ামাহা ফেজার বাইক নিয়ন্ত্রণ করা তুলনামূলক সহজ তাই তরুণরা বাইক মডেল নির্বাচন করার ক্ষেত্রে এটিকে প্রাধান্য দেয়। তাছাড়া, ইয়ামাহা ফেজার এফআই ভি২ বাইক মডেলটির দাম তুলনামূলক মধ্যম বাজেটের হওয়ায় বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ায় এর চাহিদা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের মধ্যে ইয়ামাহা ফেজার বাইক কেনার আগে বাইকের যে সকল বৈশিষ্ট্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে এমন কিছু ফিচার সম্পর্কে জেনে নেওয়া জরুরী। ইয়ামাহা ফেজার এফআই ভি২ মটরসাইকেলের ফিচার নিয়ে সংক্ষিপ্ত কিছু তথ্য সম্পর্কে আলোচনা করা হ'লঃ -
ইয়ামাহা ফেজার এফআই ভি২ বাইকে সিঙ্গেল সিলেন্ডার এবং ৪ স্ট্রোক এসআই ইঞ্জিন আছে যার কিউবিক ক্যাপাসিটি ১৪৯ সিসি। এই বাইকের ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ টোরকিউ ৬০০০ আরপিএম-এ ১২.৩ এনএম এবং সর্বোচ্চ শক্তি ৮৫০০ আরপিএম-এ ১২.৯ বিএইচপি। ফলে, ইয়ামাহা ফেজার এফআই ভি২ বাইক প্রতি ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে। তাছাড়া, এই মডেলের বাইকে এয়ার কুলড কুলিং সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত আছে ফলে এর ইঞ্জিন সব ধরণের পরিবেশে ঠান্ডা থাকে এবং এর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ তুলনামূলক কম।
ইয়ামাহা ফেজার এফআই ভি২ বাইক মডেলটি প্রতি লিটার জ্বালানি ব্যবহার করে ৪০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে। তাই, প্রতিনিয়ত ব্যবহারের জন্য এই বাইক মডেলটি উপযুক্ত।
ইয়ামাহা ফেজার এফআই ভি২ বাইকে টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট সাসপেনশন রয়েছে এবং পেছনে মনোক্রস সাসপেনশন রয়েছে। ফলে, উঁচু-নিচু রাস্তায় ঝাঁকি ব্যতীত ইয়ামাহা ফেজার এফআই ভি২ বাইক সহজেই চালানো যায়।
ইয়ামাহা ফেজার এফআই ভি২ বাইকের সামনে সিঙ্গেল ডিস্ক ব্রেক আছে এবং পেছনের ড্রাম ব্রেক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই বাইকটির ব্রেকিং সিস্টেমের সমন্বয়ের কারণে সহজেই মূহর্তের মধ্যে স্থির হওয়া সম্ভব।
ইয়ামাহা ফেজার এফআই ভি২ বাইকে টুইন হেডলাইট অন্তর্ভুক্ত থাকে বিধায় এই বাইক দেখতে খুবি আকর্ষনীয় দেখায় এবং রাতের অন্ধকারে চলাচলের সময় পর্যাপ্ত আলো সরবরাহ করে।
ইয়ামাহা ফেজার এফআই ভি২ বাইকে টিউবলেস টায়ার এবং অ্যালুমিনিয়াম চাকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ফলে, এই বাইকের টায়ার ও চাকা দীর্ঘদিন স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করার পাশাপাশি দীর্ঘপথ অতিক্রম করতে সক্ষম।
ইয়ামাহা ফেজার এফআই ভি২ বাইকে পাইপ হ্যান্ডেল বার, ডিজিটাল স্পিডোমিটার, ডিজিটাল ওডোমিটার, ডিজিটাল আরপিএম মিটার, প্যাসেঞ্জার গ্রেব রেইল, ইঞ্জিন কিল সুইচ, ইত্যাদি প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।